ঢাকা ০৪:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রকৌশল শিক্ষা এবং আমাদের মাতৃভাষা

আনুমানিক পাঁচ হাজার খ্রিস্ট পূর্বাব্দের ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা বহুকাল ধরে পরিবর্তিত হয়ে হয় শতম,আর্য,ভারতীয়, প্রাচী প্রাকৃত সংস্কৃত, অপভ্রংশ। সেখানে থেকে বঙ্গকামরূপী হয়ে ৬৫০ খ্রিস্টাব্দে বাংলা ভাষার আত্মপ্রকাশ। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে এসে আমরা পাই পূর্নাঙ্গ লিপি। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মানিক বন্দোপাধ্যায়, তারাশংকর বন্দোপাধ্যায়, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মত গুনীজনেরা বাংলা ভাষাকে আধুনিক রূপ দেন। সে হিসাবে আধুনিক বাংলা ভাষার বয়স দেড়শ বছরের কাছাকাছি।

রাজনৈতিক কারনে বঙ্গভঙ্গ, দেশ ভাগ হলেও এ ভাষার উপর সরাসরি আঘাত আসে উনিশ শত বায়ান্নতে। রক্তের বিনিময়ে এ বাংলা ভাষা হয়ে যায় একান্তই আমাদের ভাষা। ভাষার নাম নিয়ে একমাত্র দেশ হিসাবে ‘বাংলাদেশ’ এর যাত্রা শুরু হয় একাত্তরে।

ভাষার কালজয়ী ব্যবহারে “মা” শুধু একটি শব্দ সম্বোধন পেরিয়ে হয়ে উঠে মাটি, আকাশ, নদী, দেশ। ভাষা পৌঁছে যায় চোখ, মুখ, ঠোঁট , কান থেকে হৃদয় গহীনে। রবি ঠাকুর , সত্যজিৎ রায়ের মতো গুনীরা বিশ্ব দরবারে যে দ্যুতি ছড়িয়ে দিয়েছেন তা এ ভাষাকে ব্যবহার করেই। আবার মাইকেল মধুসূধন দত্তকেও উদাহরণ দেয়া যায়। ভাবনার গভীরতম স্থানে পৌঁছাতে হলে মাতৃভাষার বিকল্প নেই। আমাদের প্রকৌশল শিক্ষায় এ ভাষার ব্যবহার কি করতে পেরেছি ? উত্তর না। তাহলে আমাদের প্রকৌশলীরা কেন তাদের সমান হবেন যারা মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহন করেন। বিশ্বের সমস্ত উন্নত দেশে মাতৃভাষায় সর্ব স্তরের শিক্ষা বাধ্যতামুলক করা হয়েছে। চীন , জাপান, রাশিয়া, জার্মানি, ইউরোপ, আমেরিকার প্রকৌশল আর প্রকৌশলীর উৎকর্ষতা সর্বজনীন। কারণ কেউ কি খতিয়ে দেখেছি ? তারা শোনেন, বোঝেন, পড়েন মাতৃভাষায়। সেটাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব বহন করে। তারা মাতৃভাষায় আত্মস্থ করেন এই বিদ্যা। অন্য উচ্চতায় তুলে ধরেন নিজেদের। একেবারে ভিন্ন একটি ভাষায় চার বছর পড়াশোনা করে অধিকাংশের কাছে প্রকৌশল ধরা দেয় অস্পষ্ট হয়ে। বাঙালিরা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে গিয়ে জগাখিচুরি ইংরেজি শিখতে ফাইট করেন বেশির ভাগ সময়! যদিও এফ আর খান স্যারের মত ব্যতিক্রম আছেন।

১৯৫৪ সালে এদেশে তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানে প্রথম প্রকৌশল শিক্ষার সূত্রপাত। ইস্ট পাকিস্তান পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ( বর্তমানে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট) প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে মধ্যম স্তরের প্রকৌশলী তথা ডিপ্লোমা প্রকৌশলী তৈরির স্বতন্ত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে পূর্ণাঙ্গ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ৫ টি, সহ বিশেষায়িত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ২০ টি। এছাড়াও প্রায় ৮৫ টি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি রয়েছে। এগুলোতে প্রায় বাংলা জবানে ইংরেজিতে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সাবজেক্ট গুলো পড়ানো হয়। পাঠ্য বই বাংলায় নেই! হয়নি গ্রহনযোগ্য অনুবাদ। পঞ্চাশ বছরের উচ্চ শিক্ষায় বাংলা ব্যবহারের কথা একুশে ফেব্রুয়ারী উপলক্ষে বছরে দু একবার আলোচিত হয়। সে পর্যন্তই।

এইচ এস সি পাশ করা একটি ছেলের সামনে হঠাৎ করেই হাজির করা হয় মোটা মোটা ইংরেজি বই । সেখানে স্যারেরাও পড়ান বাংলায়। কিন্তু বাংলা ভাষার কোন বই নেই। ছাত্ররা শুনছেন বাংলায়, কথা বলছেন বাংলায় , পড়তে হবে ইংরেজিতে , লিখতে হবে ইংরেজিতে। ফলে একজন ছাত্র তার প্রকৌশল শিক্ষা জীবনের অর্ধেক সময় কাটায় ইংরেজি ভাষা শিক্ষায়। মাতৃভাষায় কোন বই না থাকায় ফারাক তৈরি হয়, শোনায় , বোঝায় , আর লেখায়। ব্যতিক্রম ছাড়া তাই আমাদের হয়ে উঠা হয়না অনেক জাপানি বা রাশিয়ান বা জার্মান ইঞ্জিনিয়ারের মত। অনুবাদ বই জরুরী। মাতৃভাষার বই আরো জরুরি। বাজারে দু-চারটা বই পাওয়া গেলেও সেগুলো মানসম্মত নয়। আবার পাশ করতে হলে অবশ্যই লিখতে হবে ইংরেজিতে। দেশের গুণী/ বিজ্ঞ প্রকৌশলীরাও সে পথ মারাননি। বাংলা ভাষায় ইঞ্জিনিয়ারিং আত্মস্থ করার রাস্তা বন্ধ। অন্যদিকে পলিটেকনিক গুলোতে যে অনুবাদে পড়ানো হচ্ছে সেটাও গ্রাজুয়েটদের জন্য বোধ্য নয়। তারা পড়ছেন নক্শা, আমরা প্লান; তারা শিখছেন ছেদ আর আমরা ক্রস সেকশন; আমরা বলছি এলিভেশন, তারা শিখছেন উলম্ব! কার্যক্ষেত্রে সেটা বিপত্তিই ঘটাচ্ছে। অনেক ইঞ্জিনিয়ারিং শব্দের অর্থ বাংলায় নেই। থাকার কথাও নয়। সে শব্দ গুলো সরাসরি বাংলা ভাষায় গ্রহন করলে ভাষা ঋদ্ধ হবে। সেটাকে বাংলা করতে গিয়ে অযথা বহু অর্থ ওয়ালা শব্দ নির্বাচন কেন করতে হবে ? ইংরেজি ওয়ালারাও তো অনেক রোমান, ল্যাটিন
হরফ গ্রহন করেছেন এবং সমৃদ্ধ করেছেন তাদের ভাষাকে।

ইংরেজি অবশ্যই থাকবে। তবে এদেশে সেটাই একমাত্র হয়ে থাকাটা বোধগম্য নয়। আন্তার্জাতিক জার্নালে বা আন্তর্জাতিক কর্মক্ষেত্রে ইংরেজি ছাড়া উপায় নেই সেটা জাপানিরা যেমন জানে, জার্মানিরাও জানে। বাঙালির জন্য সেটা আলাদা ভাবে চিন্তার বিষয় নয়। আমরাও সঠিক সময়ে সেটা পেরে উঠবো।

আমাদের প্রকৌশল শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে মাতৃভাষার বিকল্প শুধুই মাতৃভাষা। যারা নতুন, যারা গবেষণায় আছেন, যারা দায়িত্বে আছেন তারা কার্যকরী ভূমিকা রাখবেন। বাংলা একাডেমি তাদের গৃহিত অনুবাদ প্রকল্পটি পূনরজ্জীবিত করে এগিয়ে যাবার যুদ্ধকে বেগবান করবেন। এটাই আশাবাদ-

পৃথিবীর সকল মাতৃভাষা বেঁচে থাকুক। বাংলা ভাষা চীরজীবী হোক।

প্রকৌ. শফিউল আলম (মিঠু)

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রকৌশল শিক্ষা এবং আমাদের মাতৃভাষা

আপডেট সময় ০৮:৪৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

আনুমানিক পাঁচ হাজার খ্রিস্ট পূর্বাব্দের ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা বহুকাল ধরে পরিবর্তিত হয়ে হয় শতম,আর্য,ভারতীয়, প্রাচী প্রাকৃত সংস্কৃত, অপভ্রংশ। সেখানে থেকে বঙ্গকামরূপী হয়ে ৬৫০ খ্রিস্টাব্দে বাংলা ভাষার আত্মপ্রকাশ। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে এসে আমরা পাই পূর্নাঙ্গ লিপি। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মানিক বন্দোপাধ্যায়, তারাশংকর বন্দোপাধ্যায়, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মত গুনীজনেরা বাংলা ভাষাকে আধুনিক রূপ দেন। সে হিসাবে আধুনিক বাংলা ভাষার বয়স দেড়শ বছরের কাছাকাছি।

রাজনৈতিক কারনে বঙ্গভঙ্গ, দেশ ভাগ হলেও এ ভাষার উপর সরাসরি আঘাত আসে উনিশ শত বায়ান্নতে। রক্তের বিনিময়ে এ বাংলা ভাষা হয়ে যায় একান্তই আমাদের ভাষা। ভাষার নাম নিয়ে একমাত্র দেশ হিসাবে ‘বাংলাদেশ’ এর যাত্রা শুরু হয় একাত্তরে।

ভাষার কালজয়ী ব্যবহারে “মা” শুধু একটি শব্দ সম্বোধন পেরিয়ে হয়ে উঠে মাটি, আকাশ, নদী, দেশ। ভাষা পৌঁছে যায় চোখ, মুখ, ঠোঁট , কান থেকে হৃদয় গহীনে। রবি ঠাকুর , সত্যজিৎ রায়ের মতো গুনীরা বিশ্ব দরবারে যে দ্যুতি ছড়িয়ে দিয়েছেন তা এ ভাষাকে ব্যবহার করেই। আবার মাইকেল মধুসূধন দত্তকেও উদাহরণ দেয়া যায়। ভাবনার গভীরতম স্থানে পৌঁছাতে হলে মাতৃভাষার বিকল্প নেই। আমাদের প্রকৌশল শিক্ষায় এ ভাষার ব্যবহার কি করতে পেরেছি ? উত্তর না। তাহলে আমাদের প্রকৌশলীরা কেন তাদের সমান হবেন যারা মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহন করেন। বিশ্বের সমস্ত উন্নত দেশে মাতৃভাষায় সর্ব স্তরের শিক্ষা বাধ্যতামুলক করা হয়েছে। চীন , জাপান, রাশিয়া, জার্মানি, ইউরোপ, আমেরিকার প্রকৌশল আর প্রকৌশলীর উৎকর্ষতা সর্বজনীন। কারণ কেউ কি খতিয়ে দেখেছি ? তারা শোনেন, বোঝেন, পড়েন মাতৃভাষায়। সেটাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব বহন করে। তারা মাতৃভাষায় আত্মস্থ করেন এই বিদ্যা। অন্য উচ্চতায় তুলে ধরেন নিজেদের। একেবারে ভিন্ন একটি ভাষায় চার বছর পড়াশোনা করে অধিকাংশের কাছে প্রকৌশল ধরা দেয় অস্পষ্ট হয়ে। বাঙালিরা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে গিয়ে জগাখিচুরি ইংরেজি শিখতে ফাইট করেন বেশির ভাগ সময়! যদিও এফ আর খান স্যারের মত ব্যতিক্রম আছেন।

১৯৫৪ সালে এদেশে তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানে প্রথম প্রকৌশল শিক্ষার সূত্রপাত। ইস্ট পাকিস্তান পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ( বর্তমানে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট) প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে মধ্যম স্তরের প্রকৌশলী তথা ডিপ্লোমা প্রকৌশলী তৈরির স্বতন্ত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে পূর্ণাঙ্গ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ৫ টি, সহ বিশেষায়িত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ২০ টি। এছাড়াও প্রায় ৮৫ টি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি রয়েছে। এগুলোতে প্রায় বাংলা জবানে ইংরেজিতে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সাবজেক্ট গুলো পড়ানো হয়। পাঠ্য বই বাংলায় নেই! হয়নি গ্রহনযোগ্য অনুবাদ। পঞ্চাশ বছরের উচ্চ শিক্ষায় বাংলা ব্যবহারের কথা একুশে ফেব্রুয়ারী উপলক্ষে বছরে দু একবার আলোচিত হয়। সে পর্যন্তই।

এইচ এস সি পাশ করা একটি ছেলের সামনে হঠাৎ করেই হাজির করা হয় মোটা মোটা ইংরেজি বই । সেখানে স্যারেরাও পড়ান বাংলায়। কিন্তু বাংলা ভাষার কোন বই নেই। ছাত্ররা শুনছেন বাংলায়, কথা বলছেন বাংলায় , পড়তে হবে ইংরেজিতে , লিখতে হবে ইংরেজিতে। ফলে একজন ছাত্র তার প্রকৌশল শিক্ষা জীবনের অর্ধেক সময় কাটায় ইংরেজি ভাষা শিক্ষায়। মাতৃভাষায় কোন বই না থাকায় ফারাক তৈরি হয়, শোনায় , বোঝায় , আর লেখায়। ব্যতিক্রম ছাড়া তাই আমাদের হয়ে উঠা হয়না অনেক জাপানি বা রাশিয়ান বা জার্মান ইঞ্জিনিয়ারের মত। অনুবাদ বই জরুরী। মাতৃভাষার বই আরো জরুরি। বাজারে দু-চারটা বই পাওয়া গেলেও সেগুলো মানসম্মত নয়। আবার পাশ করতে হলে অবশ্যই লিখতে হবে ইংরেজিতে। দেশের গুণী/ বিজ্ঞ প্রকৌশলীরাও সে পথ মারাননি। বাংলা ভাষায় ইঞ্জিনিয়ারিং আত্মস্থ করার রাস্তা বন্ধ। অন্যদিকে পলিটেকনিক গুলোতে যে অনুবাদে পড়ানো হচ্ছে সেটাও গ্রাজুয়েটদের জন্য বোধ্য নয়। তারা পড়ছেন নক্শা, আমরা প্লান; তারা শিখছেন ছেদ আর আমরা ক্রস সেকশন; আমরা বলছি এলিভেশন, তারা শিখছেন উলম্ব! কার্যক্ষেত্রে সেটা বিপত্তিই ঘটাচ্ছে। অনেক ইঞ্জিনিয়ারিং শব্দের অর্থ বাংলায় নেই। থাকার কথাও নয়। সে শব্দ গুলো সরাসরি বাংলা ভাষায় গ্রহন করলে ভাষা ঋদ্ধ হবে। সেটাকে বাংলা করতে গিয়ে অযথা বহু অর্থ ওয়ালা শব্দ নির্বাচন কেন করতে হবে ? ইংরেজি ওয়ালারাও তো অনেক রোমান, ল্যাটিন
হরফ গ্রহন করেছেন এবং সমৃদ্ধ করেছেন তাদের ভাষাকে।

ইংরেজি অবশ্যই থাকবে। তবে এদেশে সেটাই একমাত্র হয়ে থাকাটা বোধগম্য নয়। আন্তার্জাতিক জার্নালে বা আন্তর্জাতিক কর্মক্ষেত্রে ইংরেজি ছাড়া উপায় নেই সেটা জাপানিরা যেমন জানে, জার্মানিরাও জানে। বাঙালির জন্য সেটা আলাদা ভাবে চিন্তার বিষয় নয়। আমরাও সঠিক সময়ে সেটা পেরে উঠবো।

আমাদের প্রকৌশল শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে মাতৃভাষার বিকল্প শুধুই মাতৃভাষা। যারা নতুন, যারা গবেষণায় আছেন, যারা দায়িত্বে আছেন তারা কার্যকরী ভূমিকা রাখবেন। বাংলা একাডেমি তাদের গৃহিত অনুবাদ প্রকল্পটি পূনরজ্জীবিত করে এগিয়ে যাবার যুদ্ধকে বেগবান করবেন। এটাই আশাবাদ-

পৃথিবীর সকল মাতৃভাষা বেঁচে থাকুক। বাংলা ভাষা চীরজীবী হোক।

প্রকৌ. শফিউল আলম (মিঠু)