ঢাকায় বৃষ্টিতে বন্যা বা জলাবদ্ধতা – এই সমস্যা এখন প্রকট। স্বল্প বা মাঝারি মাত্রার বৃষ্টিতেই অনেক এলাকা ভেসে যায়। শহুরে বন্যা একদিকে যেমন নাগরিক জীবনে বিপর্যয় বয়ে আনে, তেমনি অন্যদিকে স্বাস্থ্য, পরিবেশ, রাস্তা-ঘাটসহ অবকাঠামোয় আনে বিপর্যয়। আর এই অবস্থা চলতে থাকলে তিলোত্তমা ঢাকা একদিন হয়তো অস্বাস্থ্যকর দুর্যোগের নগরীতে রূপ নিবে।
‘গগনে গরজে মেঘ’, এর পরেই নামবে ‘ঘন বর্ষা। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। কিন্তু এখন ঢাকা শহরে কারও মন আর ঘন বর্ষায় বৃষ্টির আনন্দে নেচে ওঠেনা। ভারী বৃষ্টিপাত ডেকে আনছে কালান্তক বন্যা, প্লাবিত হয় ঢাকা শহর। এহেন বন্যা-বিড়ম্বনার ভয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বেড়ে যায়। অতি-বর্ষণের ফলে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা, বিপর্যস্ত হয় যোগাযোগ ব্যবস্থা, রাস্তা-ঘাটের হয় ব্যাপক ক্ষতিসাধন।
বর্তমানে ওয়াসার ৩৬০ কিলোমিটার ও সিটি কর্পোরেশনের ২০০০ কিলোমিটার ড্রেনেজ নেটওয়ার্ক আছে। যা এত ঘনবসতি শহরের জন্য খুবই অপর্যাপ্ত। এরপর নেই লোকালয় (Community) ভিত্তিক সিক্ত/শুষ্ক পুকুর (Wet/Dry Pond), পরিখা (Ditch) বা জলাধার (Reservoir) । এছাড়া বৃষ্টি প্রবাহ (Stormwater) ও পয়ঃনিষ্কাশনের (Wastewater) মিলিত (Combined) জলাবদ্ধতা পরিবেশ ও জনজীবনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করছে। ঢাকার ড্রেনেজ সিস্টেমের সঙ্গে প্রায় ১৪টি প্রতিষ্ঠান জড়িত। বাস্তবতা হলো ২-১টি প্রতিষ্ঠান ছাড়া ড্রেনেজ সংরক্ষণে কেউ কাজ করে না। এছাড়া কাজের ক্ষেত্রে এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কোন সমন্বয় নেই। এছাড়া চলমান ড্রেন গুলোর অর্ধেকের বেশি ময়লা আবর্জনায় বন্ধ থাকে। এতে পানি চলাচলে বাধা পায়, ফলে সৃষ্টি হয় ময়লা পানির জলাবদ্ধতা।
ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও ওয়াসা সূত্রে জানা যায়, এক সময় ঢাকায় অন্তত ৬৪টি খালের অস্থিত্ব ছিল। তবে বর্তমানে এর অন্তত ২১টিই এখন হারিয়ে গেছে। বাকি খাল গুলোও ক্রমে দখল হয়ে যাচ্ছে। দখলের ফলে অনেক খাল সরু হয়ে গেছে। এছাড়া দখলে দূষণে তুরাগ, বালু, শীতলক্ষ্যাসহ চার নদী মৃতপ্রায়। প্রভাবশালীদের খুশি রাখতে জায়গা ছেড়ে দিয়ে নদীর সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে; দিন দিন বিভিন্ন এলাকার উচ্চতা বাড়ানো হচ্ছে। ময়লা আবর্জনা জমে নদীর গভীরতা কমছে। নগরীর অন্যান্য জলাশয় গুলো ভরাট হয়ে গেছে। এ প্রেক্ষাপটে ঢাকার চারপাশজুড়ে নদী গুলোতে চার দশমিক পাঁচ (৪.৫) মিটার উচ্চতায় পানি থাকলে বাইরের পানি টানতে পারে না। এজন্য নগরের পানি সরে না। তৈরি হয় জলাবদ্ধতার।
কেন এই জলাবদ্ধতা?
ঢাকা শহরের বৃষ্টি পরবর্তী পানি নিষ্কাশনব্যবস্থা এতই নাজুক যে বর্ষা মৌসুমে স্বাভাবিক মাত্রার বৃষ্টিপাতে ঢাকার প্রধান সড়ক গুলো তলিয়ে যায়। অনেক এলাকায় দেখা যায় দীর্ঘসময় ধরে জলাবদ্ধতা। প্রধানতঃ জলাবদ্ধতা দূর করার কাজ ঢাকা ওয়াসা ও দুই সিটি করপোরেশনের ওপর ন্যস্ত। কিন্তু এ প্রতিষ্ঠান তিনটির মধ্যে রয়েছে চরম পর্যায়ের সমন্বয়হীনতা। যারা নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে এখন একে অন ̈কে দোষারোপ করছেন।
ঢাকার জলাবদ্ধতার একটি বড় বৈশিষ্ট্য হলো, স্টর্মওয়াটার ও ওয়েস্ট ওয়াটারের জন্য একই ড্রেনেজ সিস্টেম ডিজাইন করা। পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় অনেক এলাকায় বৃষ্টির পানি নেমে যেতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। এর প্রধান কারণ, বিদ্যমান নালা-নর্দমা গুলোর পানি নিষ্কাশনের হার কমে গেছে। এ রকম হয়েছে নালা-নর্দমা গুলোতে ময়লা-আবর্জনা জমে ওঠার ফলে। এছাড়া নেই তেমন স্টর্ম ওয়াটার ফ্যাসিলিটি (Stormwater Facilities) বা আউটলেট (Outlet)। উপরন্তু ভূমির ঢাল (Surface Grade) সমস্যা তো আছেই। এই সমস্যা গুলো সৃষ্টি হয়েছে একান্তই দায়িত্বে অবহেলার ফলে। সারা বছর ধরে নিয়মিতভাবে নালা-নর্দমা গুলো পরিষ্কার করা ওয়াসার কাজ। কিন্তু সংস্থাটি এই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে না। শুকনো মৌসুমে নালা-নর্দমা গুলোর দিকে তাদের কোনো দৃষ্টি থাকে না, শুধু বর্ষা এলেই এ ব্যাপারে তোড়জোড় শুরু হয়।
ঢাকার জলাবদ্ধতার সমস্যা এক দিনে সমাধান করা যাবে না, এর জন্য প্রয়োজন মহাপরিকল্পনা। বিভিন্ন এলাকার নর্দমা নিয়মিত পরিষ্কার না করা, রাজধানীর আশপাশের খাল গুলো ভরাট হয়ে যাওয়া ও অবৈধ স্থাপনা জলাবদ্ধতা সৃষ্টির প্রধান কারণ। জলাবদ্ধতা দূর করার বর্তমান উদ্যোগ গুলো অনেকটাই সুপরিকল্পিত ও দীর্ঘস্থায়ী নয়। সমস্যাটির স্থায়ী সমাধানের জন্য যে সুদূরপ্রসারী ও সমন্বিত পরিকল্পনা করা প্রয়োজন, তার চর্চা এই শহরের জন্য একেবারেই নেই। জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য প্রয়োজন জলাবদ্ধতা সৃষ্টির সঠিক কারণ গুলো চিহ্নিত করে সে গুলো অপসারণে টেকসই ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। তবে এই সমস্যা সমাধানের জন ̈ নিম্ন লিখিত কারন গুলো বিবেচনায় আনলে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রন বা সমাধান সম্ভব।
উল্লেখযোগ্য কারণসমূহ –
• দুর্নীতি
• অপরিকল্পিত নগরায়ন
• ইমপারভিয়াসনেস (ভূ-গর্ভেস্থ পানির অনুপ্রবেশে বাধা) বৃদ্ধি
• অপর্যাপ্ত স্টর্মওয়াটার ইনফ্রাস্ট্রাকচার (অবকাঠামো)
• স্যুয়ারেজ ও ডেধনেজ ব্যবস্থাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক জলাশয়ের সঙ্গে সংযুক্ত না থাকা
• কর্তৃপক্ষের দায়িত্বপালনে উদাসীনতা, অকর্মণ্যতা ও জবাবদিহিতার অভাব
• নগরবাসীর অসচেতনতা ও অজ্ঞতা
• সংস্থার কাজের অভাব
• সমন্বয়হীনতা
• অপর্যাপ্ত নীতিমালা/ মাস্টারপ্ল্যান
• জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে অজ্ঞতা
• অপর্যাপ্ত বাজেট
এছাড়া আরোও অনেক কারণ চিহ্নিত হয়েছে; সে গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ঢাকার ভেতরের অধিকাংশ খাল বালি জমে ভরাট হয়ে যাওয়া, অবৈধভাবে দখল করে তা ভরাট করা। রাস্তার পাশে সরকারি জায়গা দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীদের দ্বারা দখল হওয়া।
সমস্যা সমাধানের উপায়সমুহঃ
ভরাট খাল পুনরুদ্ধারের সুযোগ খুব বেশি নেই, কিন্তু এখনো যেসব খাল আছে, সে গুলোর শোচনীয় দুরব্যবস্থা দূর করার উপায় অবশ্যই আছে। কিন্তু এ কাজটি করা হচ্ছে না। খাল গুলোর অবৈধ দখল অপসারণ করে বর্জ্য সরিয়ে সংস্কার করা হলে সে গুলো দিয়ে অনেক বৃষ্টির পানি নেমে যেতে পারবে। ফলে জলাবদ্ধতা কমবে। জলাবদ্ধতার আরেকটি কারণ পর্যাপ্ত নালা-নর্দমার অভাব। এই অভাব দূর করার সোজা উপায় নতুন নতুন নালা-নর্দমা নির্মাণ করা। এটা করার জন্য যদি অর্থের ঘাটতি থাকে, তাহলে এই খাতে অর্থ বরাদ্দের ব্যবস্থা করতে হবে।
ঢাকা ওয়াসা ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ জানায়, ঘণ্টায় ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তা বর্তমান ড্রেনেজ-ব্যবস্থা ধারণ করতে পারে। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে (জুন-সেপ্টেম্বর) প্রায় দিনই এর ৫ থেকে ১০ গুণ বেশি বৃষ্টিপাত হয়। তাই ১০ মিলিমিটারের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হলে বিদ্যমান ড্রেনেজ লাইনে পানি সরতে বেশি সময় নেবে। কিন্তু ড্রেনেজ লাইন ও এ গুলোর সংযোগ লাইন গুলোর বিভিন্ন স্থানে বর্জ্য জমে থাকায় পানি নিষ্কাশনে বাধা তৈরি হয়। তাই যেটুকু ড্রেনেজ নেটওয়ার্ক আছে সেটুকুও কার্যকরী নয়। নেই কোন হালনাগাদ (Updated) মাস্টারপ্ল্যান। বিগত ৩০ বছরে জনসংখ্যা বিস্ফোরণ ও ঢাকা উন্নয়নের সঙ্গে ড্রেনেজ ব্যবস্থা পরিকল্পনার কোন সংগতি নাই। সাধারণত কোন বিল্ডিং ডেভলাপমেন্ট বা বাসস্থান তৈরির আগেই, ড্রেনেজের site condition assessment করা খুবই জরুরী। তা আদৌ হয় কিনা এ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। বর্তমান অবস্থা থেকে কাটিয়ে ওঠার জন্য নিম্নলিখিত ব্যবস্থা গুলোর প্রয়োগ খুবই জরুরী।
১. দ্রুত ড্রেনেজ ও জল নিষ্কাশন মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সিটি কর্পোরেশনকে মূল দায়িত্ব দেওয়ার পাশাপাশি ঢাকা ওয়াসাকে কারিগরী লোকবল ও বাজেটের নিশ্চয়তা দিতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয় ভোক্তাদের (Stakeholders), বিশেষজ্ঞদের উন্নয়ন কাজে অন্তর্ভূক্ত করে তাদের মতামতকে প্রাধান্য দিতে হবে। এই চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে।
২. এই মহাপরিকল্পনা বা রোডম্যাপ প্রণয়নের পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশনকে জরুরী ভিত্তিতে পানি নিষ্কাশনের স্থানীয় সমস্যা গুলো নিরসনে কার্যকর ও দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ময়লা ও কঠিন বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা বিষয় সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে এবং তা যথা স্থানে ফেলতে হবে।
৩. রোড ম্যাপ এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে রাজউককে দ্রুত ও কঠোর ভাবে ‘সংশোধিত বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিকল্পিত জলাধার, নিম্নাঞ্চল, প্লাবন ভূমি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ করতে হবে। প্রতিটি প্লটে আইনানুগ ২৫ শতাংশ উন্মুক্ত স্থান পুনরুদ্ধার করার মধ্যে দিয়ে মাটির অভ্যন্তরে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি বৃষ্টির জল সংরক্ষণে ও ব্যবহারে সকলকে উৎসাহিত করার ব্যপারে বিশেষ ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
৪. বেসরকারী সংস্থা, কনসাল্ট্যান্ট, অভিজ্ঞ লোকবল, স্টর্মওয়াটার ও ওয়েস্টওয়াটার (Stormwater & Wastewater) বিশেষজ্ঞদের কাজের জন্য নির্বাচন করতে হবে। সকলের সমন্বয়ে স্টেকহোল্ডার দল (Stakeholders group) তৈরি করতে হবে এবং তাদের মতামতকে প্রাধান্য দিতে হবে।
৫. জলবায়ু পরিবর্তন বিবেচনায় আনতে হবে। সেই লক্ষ্যে Low Impact Development (LID) প্রক্রিয়াসমূহ প্রয়োগ করে Lot Level ভূমি-প্রবাহ (Surfacewater) নিয়ন্ত্রন করতে হবে। এই ক্ষেত্রে ব্যয়ও অনেক কমিয়ে আনা যাবে। বেশি সুফল পাওয়া যাবে। উন্নত বিশ্বে এর প্রয়োগ ও এর ফল গুলো দৃষ্টান্ত হিসাবে দেখা যেতে পারে।
৬. যথাসম্ভব জলাধার তৈরি করা যতে ২৪ ঘণ্টা সময় ধরে বৃষ্টির পানি বা ভুমি প্রবাহ যতদূর সম্ভব ধরে রাখা যায় এবং বৃষ্টির পরপর সেই পানি ধীরে ধীরে নিষ্কাশন হয়ে যায়। সেই লক্ষ্যে ভূপৃষ্ঠের পাশাপাশি ভূমি অভ্যন্তরে বিশেষ বিশেষ স্থানে (মিরপুর, ধানমন্ডি ২৭ নম্বর, বাড্ডা, মতিঝিল, নাজিমউদ্দিন রোড, রাপা প্লাজা, ফার্মগেট, মালিবাগ, খিলগাঁও, শান্তিনগর, বেইলীরোড, মগবাজার, মৌচাক, নিউমার্কেটসহ আরও বেশ কয়েকটি পয়েন্টে) ড্রেনেজ ব্যবস্থার সাথে ছোট-ছোট ট্যাংক বা আধার তৈরি করা যায়। তা একদিকে যেমন সাময়িক পানি ধরে রাখতে সক্ষম, তেমনি ড্রেনেজ নিষ্কাশনেও সহায়তা করবে।
৭. ঢাকার পশ্চিম ও দক্ষিণে এবং ডি এন্ড ডি অঞ্চলে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক অধিগ্রহণকৃত বৃষ্টি-ধারণ অঞ্চল দখলমুক্ত করার পাশাপাশি বর্ষা মৌসুমে পাম্প এর মাধ্যমে নিষ্কাশনের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে হবে, যাতে দ্রুত পানি নিষ্কাশন সক্ষমতা দিয়ে অন্তত মাঝারি বর্ষণের জলাবদ্ধতা বা জলজটকে মোকাবেলা করা যায় এবং পানির উল্টো প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
৮. ড্রেনেজ নিষ্কাশন, ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারের জন্য বিশেষ করে মার্চ-জুলাই এই পাঁচ মাস অন্তত বিশেষ কার্যক্রম হাতে নিতে হবে। যাতে করে ভূমির পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি না হয়। শহরের যে সকল জায়গায় জলাবদ্ধতা বেশি তার প্রায় সব জায়গাতেই বিল্ডিং নির্মান বা উন্নয়ন হয়ে গেছে। তাই এ সব এলাকায় ইচ্ছা করলেই অপর্যাপ্ত জায়গার কারনে নতুন কোন ড্রেনেজ অবকাঠামো বা infill করা সম্ভব নয়। যতদূর সম্ভব রিট্রোফিট (retrofit) বা রিহ্যাবিলাইটেশন (Rehabilitation) করে,সাব-ক্যাচমেন্ট গুলো রিকনফিগারেশন (Subcatchment Reconfiguration) করে ও সমন্বিত LID পদ্ধতি প্রয়োগ করে এই সমস্যাকে শতভাগ সমাধান সম্ভব না হলেও, আশানুরূপ মাত্রায় তা কমিয়ে এনে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
Mohammad Hafizur Rahman (Liton)
MASc. (Canada), M.Eng.(Netherlands),
PMP (PMI-USA), P.Eng (Ontario-Canada)
Project Manager – Municipal Infrastructure
Municipal Government of Canada
Cell: 1-613-261-2481
Email: hrahman22@yahoo.com